এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ভরদুপুরে ঘটলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।বিগত দিনে হেফাজতকাণ্ডে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পর থেকে একমাত্র পাহারাদার ব্যাতীত বাড়িটিতে কেউই থাকতেন না। সঙ্গত কারণে বাড়িটির গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংযোগও ছিলো বিচ্ছিন্ন। এরই মাঝে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে উদ্রেক হচ্ছে নানা প্রশ্ন-সংশয়ের।

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের বাড়িতে ঘটে ভয়াবহ এই ঘটনা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর পৌণে একটায় হঠাৎ করে আল মামুন সরকারের বাড়ির পাহারাদার মিলন মিয়া বাড়িতে ধোয়া ওঠতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পপ্রষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অগ্নিকান্ডের সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে ঘরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এর আগে গত ২৮ মার্চ জেলা শহরে হেফাজতকাণ্ডের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের এই বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকেই আল মামুন সরকার ও তার পরিবরের সদস্যরা অন্যত্র থাকছেন। বর্তমানে বাড়িটির সংস্কার কাজ চলছিলো। এরই মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ বিহীন বাড়িটিত ভরদুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নানান প্রশ্ন-সংশয়ের উদ্রেক হচ্ছে জনমনে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোনায়েম বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'