এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনার সংক্রমণ রোধে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও লকডাউন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। কঠোরভাবে লকডাউন পালনে মাঠে সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পাঁচ শতাধিক পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৩০/৩৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।
লকডাউনে সরকারি কঠোর বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে টহল চালিয়েছে সেনা বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের নেতৃত্বে শহরে এই টহল পরিচালিত হয়। তারা জেলা সদরের হাসপাতাল রোড, টি.এ রোড, কাউতলীসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল দেয়। টহল চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন ছোট যান আটক করে চলাচলের কারণ জানতে চান। পাশাপাশি যারা ঘর থেকে বের হয়েছে তারা কি কারণে বাইরে ঘুরাফেরা করছেন তার কারণ জানতে চান এবং করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তাদের অবহিত করেন। সড়কে পন্যবাহী ট্রাকসহ ছোট আকারের যানবাহন চলাচল করেছে। শহরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। যেনো এক ধরণের থমথমে অবস্থা। এদিকে জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন অলিগলিতে দোকানপাট খোলা থাকে।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'কঠোরভাবে লকডাউন পালন করতে মাঠে সেনাবাহিনীর টিম ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পাঁচ শতাধিক পুলিশ এবং ৩০/৩৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করছে।'
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত চার হাজার ২১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা পিসিআর রিপোর্টে তাদের করোনা পজেটিভ আসে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নুতন করে সুস্থ হয়ছে ২৬। এখন পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৭৭১ জন রোগী। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬২ জন।