আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা।।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্ক আরো গভীরতর হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক আছে তা আরো গভীর হচ্ছে। ভারতের নয়া দিল্লীর বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান আখাউড়া স্থলবন্দরে আজ মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে এ কথা বলেন। তিনি সোমবার ত্রিপুরায় আসেন। মঙ্গলবার সকাল এগারটার দিকে আখাউড়া আগরতলা রেললাইন নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি নিশ্চিন্তপুর অংশ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আগরতলায় যে স্থানে দুই দেশের রেলইনের সংযোগ হবে সেই স্থানটি নিজ চোখে দেখে গেছেন। এর পর আসেন আখাউড়া চেকপোষ্টে।
এখানে বাংলাদেশ অংশে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নূর-এ-আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাষ্টম’স ডেপুটি কমিশনার ফকরুল আমীন চৌধুরী, আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, আখাউড়া চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ হামিদুর রহমান। এসময় দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার কিরিটি চাকমা, আগরতলা স্থলবন্দর ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী প্রমুখ।
আখাউড়া চেকপোষ্টে দিল্লীর বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে। এর জন্য অবকাঠামো তৈরী হচ্ছে। এই বিষয়ে দুই দেশ এক সাথে কাজ করছে। আশা করি এই কাজগুলো শেষ হলে উভয় দেশের জণসাধারণ উপকৃত হবে।
তিনি স্থলবন্দর টার্মিনাল, কাষ্টম’স দপ্তর ও ইমিগ্রেশন দপ্তর ভবন ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি বলেন, চেকপোষ্টের বিভিন্ন অফিসের উন্নয়ন চলছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের দিকে এই অবকাঠামোর উন্নয়নের অনেক সুযোগ আছে। বাংলাদেশ অংশে অনেক জায়গা আছে। অবকাঠামোর উন্নয়ন করে পরিষেবা বাড়ানো এবং এক জায়গায় নিয়ে আসা যাবে।’ যাত্রীদের সেবার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সুবিধাদিও বাড়বে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com