১২৩বছর বয়স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। কলেজের মোট ভূমির পরিমাণ ৩২একর। তার মধ্যে একাদশ শাখা নগরীর কান্দিরপাড়ে। ডিগ্রি শাখা দুই কিলোমিটার দূরে নগরীর ধর্মপুরে। ডিগ্রি শাখার নিকটস্থ দুই খণ্ড ভূমিতে কুনজর পড়েছে। সেগুলো হচ্ছে ডিগ্রি শাখার দক্ষিণ পূর্ব কোনে সড়ক পেরিয়ে ছায়া বিতান এলাকায়। অপরটি প্রফেসর পাড়ায়। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে উল্লেখ করা, কলেজের মোট ভূমি ৩২ একর। একাদশ শাখা ৭.৩৬ একর। ডিগ্রি শাখা ছাত্রাবাসসহ ১৯.৩০একর। প্রফেসর পাড়ায় ০.৫৭ একর। চর্থা কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সংলগ্ন শেরে বাংলা ছাত্রাবাস ০.৬৮একর। টমছম ব্রিজ এলাকার নিউ হোস্টেল ৪.০৯ একর।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডিগ্রি শাখার দক্ষিণ পূর্ব কোনে সড়ক পেরিয়ে ছায়া বিতান এলাকা। সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে। ভূমিটি ০.১৮একরের। তার তিন পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভবন রয়েছে। কেউ কেউ কলেজের ভূমির দিকে বাড়িয়ে সীমানা দেয়াল তুলেছেন। খালি অংশে রাখা হচ্ছে ইট বালু।
এদিকে প্রফেসর পাড়ায় খাদ্য গুদামের পাশে রয়েছে ০.৫৭ একর ভূমি। সেটি দেখতে অনেকটা জলাধার। সেখানেও স্থানীয় কয়েকজন কলেজের ভূমি নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শান্তিরঞ্জন ভৌমিক বলেন, দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া কলেজ। দিন দিন এর শিক্ষার্থী বাড়ছে। কলেজের কাজে অনেক ভূমির প্রয়োজন হবে। এর ভূমি সংরক্ষণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আরো যত্নশীল হতে হবে। প্রয়োজনে স্থাপনা নির্মাণ বা সীমানা প্রাচীর দিতে হবে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, কলেজের ভূমি সংরক্ষণে আমরা যত্নশীল রয়েছি। কলেজের উন্নয়নে ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে। সেটি পাশ হলে খালি জায়গা গুলোতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হবে।
আমরা মনে করি, দিন দিন শিক্ষার্থী বাড়ছে। ক্যাম্পাসের ক্লাস ভবন ও হলের প্রয়োজনে ভূমির প্রয়োজন রয়েছে। কলেজের ভূমি রয়েছে। সেগুলো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময়ে দখল হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com