অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচারণার
গতি ততো বাড়ছে। মঙ্গলবার ৫ম দিনে চার প্রার্থী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। প্রচারণার সময়ে প্রার্থীরা ভোটারদেরকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু মঙ্গলবার প্রচারণা চালান নগরীর রেইসকোর্স এলাকায়। তিনি বলেন,মানুষ বলে গতবার আমি বিজয়ী হয়েছি। আমাকে হারানো হয়েছে। তারা জিজ্ঞেস করছেন-এবার আমরা ভোট দিলে তা ধওে রাখতে পারবো কিনা? আমি সবাইকে বলি- সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।
অপর দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা প্রচারণা চালান
নগরীর কাপ্তানবাজার ও মোগলটুলী এলাকায়। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো নির্বাচন করলেও আমি দলের কাজ, সামাজিক সংগঠন,সংসদ ও গত মেয়র নির্বাচনে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। এই নগরীর মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। প্রচারণায় বেশ সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে নারীরা তাদের মেয়ে ও বোনের মতো আপন করে নিচ্ছেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রচারণা চালান ২৫ নং চৌয়ারাসহ বিভিন্ন এলাকায়। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে মাঠে নেমেছে। এতে নির্বাচন উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা না করলে তারা জনগণের আস্থা হারাবে।
বিভিন্ন স্থানে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ও গাড়ি ব্যবহার করে এক প্রার্থীর পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনের মাঠে সকল প্রার্থীকে সমান ভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মেয়র প্রার্থী নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম প্রচারণা চালান নগরীর টিক্কাচর ও সংরাইশ এলাকায়। তিনি বলেন-একজন প্রার্থীর লোকজন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চান। তারা ভোট কারচুপি করতে চায়। তারা জানে না ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। তবুও কোন অনিয়ম করতে চাইলে জনগণকে সাথে নিয়ে বাঁধা দিবো।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এ উপনির্বাচন। নগরীর ২লাখ ৪২ হাজার ভোটার এবারও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিবেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com