মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

 

inside post

আমোদ রিপোর্টার

 

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া গ্রাম থেকে লিপি আক্তার (২৫) নামে ওই দুই সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল পদুয়াপাড় গ্রামের ইদ্রিছ টেইলারের মেয়ে। লিপির পরিবারের অভিযোগ, লিপিকে তার স্বামী আর শ্বশুর মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায, ২০১৫ সালে লিপির বিয়ে হয় মনোহরগঞ্জ উপজেলার কৈয়ারপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির খুরশিদ আলমের ছেলে মুদি দোকানি দেলোয়ার হোসেনের সাথে। নিহত লিপি দুই সন্তানের মা।
লিপির বড় ভাই মো. সাদ্দাম জানান, এবারের ঈদে লিপি তাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো। সোমবার সকালে লিপি জানায় তার স্বামী তাকে যেতে দিচ্ছে না। সকালে লিপি এইসব কথা বলার পর বিকেলে তার স্বামী আমাদেরকে মোবাইল ফোনে খবর দেয় লিপি স্ট্রোক করেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখি বোনকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আমরা মুখের কাপড় সরিয়ে গলায় দাগ দেখতে পাই। তখন তার শ্বশুর ও স্বামী জানায় লিপি আত্মহত্যা করেছে। এতে সন্দেহ তৈরি হয়। আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বোনের শ্বশুর এবং স্বামী আমাদেরকে মারধর করে। আমরা রক্ষা পেতে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ আমাদেরকে এবং আমার বোনের মরদেহ নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নূরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাতে থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর গলায় ওড়না ও রশি পেছানোর দাগ রয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন