অফিস রিপোর্টার।
আগানগর। কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামের মাঠের পাশে ড্রাগন বাগান। বাগানের উপরে বর্ষাকালের আকাশে শরতের মোহনীয় রূপ। হালকা বাতাসে দুলছে রঙিন ড্রাগন। এলাকার প্রথম বাগান হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ দেখতে ভিড় জমান। বাগান থেকে কিনে নিয়ে যান তাজা ফল। কেউ কেউ মাঠের পাশেই ফল কেটে খেতে শুরু করেন। ফলের রঙিন রস তাদের হাত ও মন দুটোই রাঙিয়ে দিচ্ছে। সুস্বাদু ও দৃষ্টিনন্দন ফল খেয়ে ক্রেতা তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। পাশে নগদ টাকায় ফল বিক্রয় করে খুশি উদ্যোক্তারাও। বাগানের উদ্যোক্তা দুই বন্ধু রাকিবুল হাসান ও মোস্তফা কামাল।
রাকিবুল হাসান জানান, কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে(বার্ড) কয়েক বছর আগে একটি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ নেন। তারপর নিজের ছাদে টবে কয়েকটি ড্রাগনের চারা লাগান। দুই বছরে সেখানে ভালো ফল পান। এক পর্যায়ে দুই বন্ধু পরিকল্পনা করেন, ড্রাগন নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে কিছু করা যায় কিনা। এক প্রতিবেশী থেকে ৬০শতক জমি লিজ নেন। জমি লিজ, বাগানের সরঞ্জাম,চারা লাগানোতে প্রায়ই ৬লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চারা নাটোর থেকে সংগ্রহ করেছেন। এই ফলের চারার রোগ বালাই তেমন নেই। ২য় বছর থেকে ভালো ভাবে ফল আসা শুরু হয়েছে। দুই দফায় প্রায় তিন লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। এই বছরে তাদের পুঁিজ উঠে যাবে বলে আশা করছেন। গ্রামের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিকর ফল খাওয়াতে পারায় আনন্দ আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাইকারি কেজি ৩০০টাকা বিক্রি করেন। পাইকাররা বাগান থেকে ফল কিনে নিয়ে যান।
কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ পরমানন্দ গোস্বামী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীও কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন। প্রশিক্ষিত তরুণরা কৃষিতে আরো বেশি এগিয়ে এলে আমাদের দেশের বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
বরুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বড় বাগান আগানগরে। সম্প্রতি বাগানটি পরিদর্শন করেছেন। তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এই বাগানের উদ্যোক্তারা তরুণ। তারা বাগানে বেশ শ্রম দিচ্ছেন। তাদের মতো অন্যরা এগিয়ে এলে সমাজের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। সাথে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com