প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে গাছ,নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। শুক্রবার ভোর রাত থেকে সন্ধ্যার টানা বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে শীতের সবজি ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন চাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হননি। সড়কে যানবাহন একেবারে নেই। ছুটির দিন সকালে রাজগঞ্জ, চকবাজার ও নিউমার্কেটে সকালে বেচাকেনায় ব্যস্ততা থাকলেও বাকি সময়টা অলস পার করতে হয়। চৌদ্দগ্রাম,সদও দক্ষিণ ও চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় মহাসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে আছে। নগরীর রেইসকোর্স,নজরুল এভিনিউসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় অনেক জমির পাকা থাকা ধান নুয়ে পড়ে। গোমতীচরে আবাদ করা আলু, মুলা, লালশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শীতকালীন ফসলগুলোর ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। যেন পানিবন্দি না হয়ে যায় সে জন্য কোদাল হাতে কৃষকরা জমির আইলে ব্যস্ত সময় পার করেন। এছাড়া চৌদ্দগ্রামের পন্নারা,লালমাই উপজেলায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। সদর দক্ষিণে কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
গোমতীর বালিখাড়া এলাকার কৃষক নোয়াব হোসেন বলেন, ৮০ শতক জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। এক সপ্তাহ আগে বীজ রোপন করেছিলেন। জমিতে পানি জমলে আলুর বীজ পচে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তিনি কোদাল হাতে জমির পাশে পানি সরে যাওয়ার জন্য ড্রেন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কুমিল্লায় কৃষি ফসলের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ঝড় থামলে কি পরিমাণ ক্ষতি হবে তা নিরুপণ করা যাবে। সে অনুযায়ী আমরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com