প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে যাত্রীবাহী বাসে স্বামী-স্ত্রীকে হেনস্তার প্রতিবাদে হামলাকে ‘ডাকাতি’ বলে অপ-প্রচারের ঘটনা ঘটেছে। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। বাসের চালক, সহকারী, যাত্রী স্বামী-স্ত্রী ঘটনাটি 'ডাকাতি' নয় বলে স্বীকার করেছে।
রোববার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ তিন পক্ষের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক ও শারমিন দম্পত্তি সিডিএম পরিবহনের একটি বাসে উঠে। রাত ১০টার সময় বাসের সহকারীরা তাদেরকে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে ওমর ফারুকের কল পেয়ে তার এলাকার যুবকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগন্নাথে লাঠিসোটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর বাসটি জগন্নাথ এলাকায় পৌঁছলে শারমিন ও আরও কয়েকজন যাত্রী নেমে যায়। লাঠিসোটা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকরা বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাংচুর করে। এতে ভয় পেয়ে ওমর ফারুকসহ আরও একজনকে জোরপূর্বক বাসে রেখেই দ্রুতগতিতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যায় চালক ফয়সাল। এরই মধ্যে খবর পেয়ে মহাসড়কে কর্তব্যরত চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান বাসটি থামাতে চেষ্টা করলেও চালক বাসটি থামায়নি। এক পর্যায়ে ৯৯৯-এ কল পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিরা এলাকায় বাসটি থামায়। পরে দুই যুবক ও বাসটি আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। মুহুর্তেই কয়েকজন সাংবাদিক বিস্তারিত খবর না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ডাকাতির চেষ্টা’ বলে ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল করে দেয়। হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের পুরো এলাকা তদন্ত করে ডাকাতি করার কোন আলামত পায়নি। রোববার সকালে বাসের মালিক, চালক, সহকারী, আটককৃত দুই যুবক, যাত্রী স্বামী-স্ত্রী থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি ‘ভুল বুঝাবুঝি’ উল্লেখ করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সিডিএম পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী স্বামী-স্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাকাতি বলে অপ-প্রচার করা হয়েছে। মূলত শনিবার রাতে মহাসড়কে কোন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। বাসে হামলার ঘটনায় সকল পক্ষের উপস্থিতিতে ‘ভুল বুঝাবুঝি’র বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।'
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com