মহাসড়ক বন্ধ করে শোক র‍্যালির নামে ছাত্রলীগের শো-ডাউন!

আমোদ প্রতিনিধি।।
ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে শোক র‌্যালির নামে নতুন কমিটিরশো-ডাউন করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ! মহাসড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তিন সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে ওই শোক র‌্যালিতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহনের চালক, যাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়,শনিবার বিকাল সোয়া ৫টায় কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকা থেকে র‌্যালি শুরু করে তারা।

মহাসড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ওই শোক র‌্যালি শেষ হয় নাওতলা ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে। ওই মাঠে ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্যের পর শেষ হয় তাদের কর্মসূচি। এসময় হাইওয়ে পুলিশ মাধাইয়া বাজার সংলগ্ন ইউটার্ণ থেকে চট্টগ্রাম লেনে ঢাকামুখী গাড়ি চলাচল করতে সহায়তা করে। এদিকে আগস্টের শেষ দিকে এসে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ‘শোক র‌্যালির’ ব্যানারে মূলত কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির শোডাউনই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। মহাসড়ক বন্ধ করে শোক র‌্যালি করায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানান বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বাস চালক বিল্লাল হোসেন জানান, শোক র‌্যালি মহাসড়কে কেন? যে মহাসড়কে এক মিনিট যানবাহন বন্ধ থাকলে যানজট সৃষ্টি হয় সেখানে দেড় কিলোমিটার এলাকা বন্ধ করে র‌্যালি করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
মাধাইয়ার নাওতলা এলাকার বাসিন্দা মনির জানান, বিকাল ৫টা থেকে র‌্যালিটি বের হলে যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৬টায়ও ঢাকামুখী লেনে যানজট ছিলো।


হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক প্রেমধন মজুমদার জানান, ছাত্রলীগের শোক র‌্যালির কারণে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক করি।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জানান, প্রায় ৩০-৩২ হাজার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই শোক র‌্যালি করি। আমরা মহাসড়ক বন্ধ করে র‌্যালি করিনি। তবে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন সম্পূর্ণ মুক্ত ছিল।