হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরীতে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে কিছু মানুষ। বিশেষ করে ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলের বারান্দায় মাছ ধরেছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানের ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনায় মরণফাঁদে তৈরি হয়েছে। সালাউদ্দিন হোটেলের মোড়ের একটি খোলা ড্রেনে একজন নারী পড়ে যান। গত শুক্রবারের দুইটি ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলে শুক্রবার সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফজরের নামাজ শেষ করে ফেরার সময় হলের বারান্দায় পানির সাথে ভেসে আসা বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় ছোট মাছ দেখতে পায়। মাছ দেখে শিক্ষার্থীরা ধরতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা জানায় প্রথম ধাপে তারা ৮ কেজি মলা মাছ ধরেছে। পরে আরো ৪ কেজি মাছ ধরে।
আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, ভবিষ্যতে যদি বড় কোনো চাকরি নাও পাই, এই হলের প্রশিক্ষণে অন্তত পেশাদার জেলে হতে পারব।
অন্য একজন বলেন, যেখানে পানির কষ্টে সবাই কাতর, সেখানে আমরা পানিতে মাছ ধরছি এটা আমাদের অভিনব সুখ। হলের নিচতলা যেন অস্থায়ী খাল বা বিলের রূপ নিয়েছে। কক্ষে থাকার কষ্ট ভুলে অনেকেই মাছ ধরার মাধ্যমে সুখ খোঁজে নিচ্ছে।
কয়েকজন সচেতন শিক্ষার্থী বলেন, মজা তো হচ্ছে, কিন্তু এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ অব্যবস্থাপনা। আজ মাছ ধরা হচ্ছে, কাল হয়তো পানিবাহিত রোগ দেখা দেবে। আমরা কলেজ প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাই এই কঠিন সমস্যাটাকে স্থায়ী সমাধান করে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে কোটবাড়ি একটি প্রাইভেট হসপিটাল কাজ করেন এক তরুণী। তিনি প্রতিদিনের মতোই বাসায় থেকে বের হয়েছে হসপিটালের উদ্দেশ্যে। তবে সড়কে এতো পরিমাণ পানি ছিল যে কোনটা ড্রেন আর কোনটা সড়ক তা বুঝা অসম্ভব। সালাউদ্দিন মোড়ে আসতে পা না দিতেই পড়ে যান ড্রেনে। সাঁতার জানা না থাকলে হতো জীবিত বাড়ি ফেরা তার জন্য অসম্ভব হতো।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে খোলা অবস্থায় রয়েছে ড্রেনের একটি অংশ। সিটি কর্পোরেশনের কোন উদ্যোগ নেই তার উপরে ঢাকনা দেওয়ার। তাদের এই অসচেতনতা আজকে একটি পরিবারের আশার আলো নিভে যেতো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com