`মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেলে ইউএনও বদলি হয়ে যায়’

 

ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদককে লালকার্ড প্রদর্শন,শপথ বাক্য পাঠ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মাদক বিরোধী সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভগবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষক,শিক্ষার্থী,জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাদককে লালকার্ড প্রদর্শন করেন। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে পাঠ করানো হয় শপথ বাক্য। শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবুল হাসেম খান।


সমাবেশে বক্তারা বলেন,মাদক ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিকে ভোট দেয়া যাবে না। তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না। আত্মীয়তা করা যাবে না। তার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে না। তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন,৬০বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ,উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ জাহের,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান,উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী চৌধুরী,সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, শিক্ষানুরাগী মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী, শিদলাই আমীর হোসেন জোবেদা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ মিয়া ও নুরুল ইসলাম প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, এখানে অনেক গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে। শিক্ষায় আমাদের অনেক সাফল্য আছে। তবে পত্রিকার পাতা উল্টালে মন খারাপ হয়ে যায়। ব্রাহ্মণপাড়া নিয়ে পত্রিকায় অধিকাংশ মাদকের সংবাদ। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের শপথ করতে হবে। আমরা যদি সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে পারি, সব মানুষকে জাগাতে পারি, তাহলে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সবাই বেঁচে যাবে। অনেক নেতা মাদকসেবীদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় কল করেন। এমন রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেলে ইউএনও-ওসি বদলি হয়ে যায়। ব্রাহ্মণপাড়ার ইউএনও সোহেল রানা মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় তাকে তিনবার বদলি করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আমরা সোফা সেটে বসিয়ে রাখি। এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।