কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার চন্দ্রশেখরদী গ্রামে অবস্থিত আলহাজ্ব আবুল কাশেম হোসনেয়ারা হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম সরকার ও কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল আলম শুভ বলেন,আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব আবুল কাশেম হোসনেয়ারা হাফিজিয়া মাদ্রাসা একটি ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষা কেন্দ্র। এই মাদ্রাসা- প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এলাকাবাসীর সন্তানদের আলোর পথে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা আজ এক গভীর অন্যায়ের শিকার। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেইসবুকে আমাদের এই স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনরকম সত্যতা ছাড়া বানোয়াট মিথ্যা ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শীঘ্রই আমাদের এ বক্তব্য উপরোক্ত মাধ্যমে যথাযথ ভাবে ভিডিও চিত্র ও সংবাদ আকারে প্রকাশের আহবান জানাচ্ছি। নতুবা আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
তারা আরো বলেন,মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য গত দশ বছর আগে আমার বাবা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সরকার মাদ্রাসার পিছনে পাঁচ শতক জমি (দাগ নং- ৬৪৬) ক্রয় করেন জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে। সম্পূর্ণ আইনানুগ কাগজপত্র সম্পন্ন করে, নিয়ম মেনে আমরা জমি স্বত্ব লাভ করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে উক্ত ব্যক্তি তখন নিজ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সেই জমি আমাদের দিতে অস্বীকার করেছেন।
আমরা যখন আমাদের আইনি অধিকার আদায়ের চেষ্টা করি, তখন তিনি উল্টো আমাদের সাথে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সম্মানহানি করার জন্য স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজসহ বিভিন্ন স্থানীয় সূত্রে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য- এই ব্যাপারে আমাদের স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজে বৈঠকও হয়। রায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষে হলে জনৈক ব্যক্তি তা অমান্য করেন। তার এ আচরণ শুধু মাদ্রাসারই নয়, সমগ্র এলাকার ধর্মপ্রাণ জনগণের জন্য লজ্জাজনক।
কোনরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়া ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে তারা কিসের ভিত্তিতে এরকম স্পর্শকাতর, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করলেন সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। এ জমির অংশটুকু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের চলাচল সহজলভ্য করার চিন্তা করে রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এটি ছাড়া মাদ্রাসার উন্নয়ন থেমে যাচ্ছে।
এখানে আরো উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির বোন থেকেও আমরা মাদ্রাসার জায়গা ক্রয় করেছিলাম। তিনি এ জমির অংশটুকু সম্পূর্ণ আইনসম্মতভাবে আমাদেরকে হস্তান্তর করেছিলেন। গ্রামের লোকমুখে প্রচলিত যে জনৈক ব্যক্তি তার নিজ বোনের ওপরও নির্যাতন করেন। এই ব্যক্তি শুধু মাদ্রাসার উন্নয়ন বিরোধী কার্যক্রম নয় বরং তিনি সমগ্র এলাকা জুড়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। যিনি তার নিজ পরিবারের প্রতিও নির্মম আচরণ করেন, তিনি সমাজের উন্নয়নে কি উপলব্ধি করতে পারবেন! আমরা এ অন্যায়ের প্রতিকার চাই। আলহাজ্ব আবুল কাশেম হোসনেয়ারা হাফিজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এটা বিশ্বাস করে যে- ধর্মীয় শিক্ষার পথে বাধা নয়, সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন, যা আমাদের সন্তানদের দিতে পারে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com