আমোদ প্রতিনিধি।।
কারাগারে বন্দি থাকা স্বামীদের মুক্তির দাবিতে সম্মেলন করেছিলেন ছয়জন স্ত্রী। একুশ দিন জেলে থাকার পর মঙ্গলবার কারগার থেকে মুক্তি হন পাঁচজন স্বামী। তার আগে আরো একজন মুক্তি পান। স্বামীদের কাছে পেয়ে আপ্লুত স্ত্রী ও তার স্বজনরা। মুক্তি পান জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামের খন্দকার আবুল খায়ের, নিজাম উদ্দিন, খোকা মিয়া, আবদুল ওহাব পাঠান, জালাল খন্দকার ও জাহাঙ্গীর আলম।
সূত্র জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ছয়জন। সেখানে অভিযোগ করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাকের এক নাতনী ওই ছয়জনকে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার আবুল খায়েরের স্ত্রী জোবায়দা আক্তার বলেছিলেন, গত ১৮ নভেম্বর দশপাড়া গ্রামে খুনি মোশতাকের ভাতিজা নাসিরুল কবির ও স্থানীয় মাহাবুবুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাব পাঠান আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করার জের ধরে খুনি মোশতাকের নাতনী (নাসিরুল কবিরের ভাগ্নি) কাজী রেহা কবির ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় গত ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে ওই ছয়জনকে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার ২দিন পর ৩ ডিসেম্বর নাসিরুল কবির গ্রæপের আরেক সদস্য তাজুল ইসলাম মীরকে দিয়ে ওই তিনজনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি সাজানো দোকান চুরির মামলা করানো হয় কুমিল্লার আদালতে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খাঁন বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি রেহা কবিরের দায়ের করা মামলাটি সাজানো-বানোয়াট। আদালতে মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com