মমিন মোল্লা, মুরাদনগর।
সাম্মাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর মর্ডান এগ্রোফার্মের কৃষক সামসুল হক। ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করে দুই বিঘা পতিত জমিতে সাম্মাম চাষ করে চার টন ফল উৎপাদন করেছেন তিনি। এখন শুধু বাজারজাতের অপেক্ষা।
ভুবনঘর এগ্রোফার্মের স্বত্বাধিকারী এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন বুধবার সাম্মাম বিক্রি উদ্বোধন করবেন। সাম্মাম সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। এরই মধ্যে সাম্মাম এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার জমিতে দুই জাতের সাম্মাম আছে। এর মধ্যে এক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ দেখতে খিরার মত খসখসে আর ভেতরে পেপের কালার। আরেক জাত হচ্ছে (৪৩৪)এটি বাইরে সবুজ ভিতরে সাদা। তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, রসালো ও সুস্বাদু ।
কৃষক সামসুল হক বলেন, এগ্রোফার্মের দুই বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করেছি। সাম্মাম ফলের তেমন একটা রোগবালাই নেই। গাছে সামান্য সার ও কীটনাশক দিতে হয়। দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ব হয় সাম্মাম। একেকটি সাম্মাম ফল দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। প্রতি কেজি সাম্মাম খুচরা দুই থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি করি। কৃষি কাজে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আমাকে সহায়তা করেন। সকলে মিলে কাজ করি বলেই কাজের শ্রমিক কম লাগে। সাম্মাম ছাড়াও জমিতে স্কোয়াশ, সরিষা, টমেটো ও ধান চাষ করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ বলেন, সামসুল হক একজন আদর্শ কৃষক। তিনি সব সময় নতুন নতুন কৃষিপণ্য চাষে আগ্রহী। বেশ কয়েকবার সাম্মাম বাগানসহ তার এগ্রোফার্ম নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। তাকে দেখে তরমুজের মতো এই ফল চাষে আশপাশের অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com