মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে চান মা

 

দুই বছর পার হলেও এখনো শাবাতের খুনিরা ধরা পড়েনি। দীর্ঘ দুই বছর আমরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। শাবাতের আব্বা লিয়াকত আলী খান সন্তানের শোকে অসুস্থ হয়ে গেছেন। মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চাই। মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকার বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার ডেইজি এইসব কথা বলেন।
সূত্রমতে,শাবাত কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ কোয়ার্টার এলাকার ডা. লিয়াকত আলী খানের ছেলে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গোমতী নদীর পালপাড়া ব্রিজের নিচে দু’হাতে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় শাবাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শাবাতের মা রাফিয়া আক্তার ডেইজি বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি শাবাত খান। বের হওয়ার সময় মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ কিছুই নেননি। ছিল কেবল চাবির রিং। পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারি ছেলের মরদেহ ভাসছে গোমতী নদীতে।
সংবাদ সম্মেলনে শাবাতের বড় বোন ডা. শারমিন খান বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব রকম তথ্য উপাত্ত দিয়েছি। তারা বলছেন কাজ করছেন। তবে দুই বছর পার হলো এখনো কোন কূলকিনারা হয়নি।
শাবাত খানের বাবা ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শাবাতকে খুন করা হয়। ২ জানুয়ারি ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন কাদির। ১০ দিন পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। এখন মামলার তদন্ত করছেন কুমিল্লা পিবিআই’র পরিদর্শক মতিউর রহমান।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, এখনো প্রকৃত ক্লু পাচ্ছি না। প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। আমরা লেগে আছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।