প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১৫, ২০২৫, ৮:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ৭:২০ অপরাহ্ণ
মৎস্য উৎপাদনে কুমিল্লার ২য় স্থান থেকে ১ম স্থানে উত্তীর্ণের লক্ষ্য
সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালা
প্রতিবেদক।।
মৎস্য উৎপাদনে সারাদেশের মধ্যে কুমিল্লা জেলার অবস্থান দ্বিতীয়। দ্বিতীয় অবস্থান থেকে প্রথম স্থানে উত্তীর্ণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলার মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে সমস্যা ও সম্ভাবনা ' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় মূল আলোচকের বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক খালেকুজ্জামান সরকার। অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব।
কর্মশালায় মূল প্রতিবেদন মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর মৎস্য উৎপাদন হয় ৫০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে কুমিল্লায় উৎপাদন হয় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। মৎস্য উৎপাদনে ময়মনসিংহ জেলার অবস্থান প্রথম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা। মৎস্য উৎপাদনে কুমিল্লা প্রথম স্থান অর্জন করতে হলে খামার মাছ উৎপাদনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কুমিল্লা জেলায় ৮৪ হাজার ৪ শ ২৮টি পুকুর রয়েছে। ৪৬ হাজার মৎস্য চাষি রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করলে কুমিল্লা মৎস্য উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয় বলে বক্তারা জানান।
বর্তমানে জিডিপিতে মৎস্য খাত ২.৫৩% অবদান রাখছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ৪৫৩১.৮৬ কোটি টাকা সংযোজন করছে। বিশ্বে ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে অবস্থান করছে।
বক্তারা আরো বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঋণ দেয়ার নীতিমালা সহজীকরণ, মৎস্য খাদ্য উপকরণ মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মিনি ল্যাবরেটরি স্থাপন প্রয়োজন।
কর্মশালায় মৎস্য উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে প্রতিবেদনে অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, জনবল ঘাটতি,অপর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, অনুন্নত বাজার অবকাঠামো ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে।
এছাড়াও প্রতিবেদনে মৎস্য অধিদপ্তরের রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য, মৎস্য অধিদপ্তরের ম্যান্ডেট, মৎস্য খাতে সাম্প্রতিক অর্জন ইত্যাদি বিষয়ও উপস্থাপিত হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও খামার ব্যবস্থাপকরা মুক্ত আলোচনায় মৎস্য উৎপাদনের সমস্যা নিরসনের লক্ষে বিভিন্ন সুপারিশ করেন। কর্মকর্তারা এ সুপারিশমালা এক মাসের মধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান। কর্মশালা সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাশ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com