অফিস রিপোর্টার।।
সাওড়াতলী জলা(বিল)। জলার মাঝের একটি সরু খাল পরিষ্কারে বদলে গেছে দেড় শতাধিক একর জমির চাষাবাদ। এতে উপকৃত হয়েছেন ৩শতাধিক কৃষক। সেখানে ৩০বছর পর ধানের চাষ বেড়েছে। সহজ হয়েছে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সেচের ব্যবস্থাপনা। খালটি পাগলী খালের সাথে সংযুক্ত। এই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আবদুস সোবহান। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের নলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক।
আবদুস সোবহান বলেন, কৃষক সংগঠন করার কারণে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে মিশতে হয়। শাওরাতলী গ্রামে গেলে স্থানীয় কৃষকরা দাবি করেন পাগলী খালের সাথে সংযুক্ত খালটি পরিষ্কার করে দিতে। খালটি খননের ৩০বছর আর সংস্কার হয়নি। এটি ব্যক্তি উদ্যোগে এক কিলোমিটারের মতো পরিষ্কার করায় কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান খাল খনন করে দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমিও মনে করি, কৃষি ও দেশ বাঁচাতে নদী, খাল,নালা সচল রাখতে হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,মাঠজুড়ে সবুজ ফসলের হাসি। দক্ষিণের হালকা বাতাসে দুলছে রোপা আমনের সবুজ পাতা। ব্রিজের ওপর বসে সবুজ মাঠ দেখে চোখ জুড়াচ্ছেন কৃষকরা। দীর্ঘদিন পর ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন বলে তারা আশা করছেন।
মনিপুর গ্রামের সরাফত আলী,ঘিলাতলীর মানিক মিয়া ও কুন্দারঘোড়ার আবু বকর শিবলী বলেন,এখানে আগে অনেক জমি খালি পড়ে থাকতো। খাল কাটানোর কারণে মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। আরো কিছু অংশ কাটার বাকি রয়েছে। তাহলে আরো জমি চাষের আওতায় আসবে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, শাওরাতলী জলায় দুইটি ফসল হয়। পানির প্রবাহ না থাকায় কিছু জমি চাষের বাইরে ছিলো। কৃষক আবদুস সোবহানসহ অন্যান্যদের উদ্যোগে খালটি পরিষ্কার হয়েছে। এতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com