আমোদ ডেস্ক।।

হতাশাগ্রস্ত হয়েই মৃত্যুর পথ বেছে নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জান্নাতুল হাসিন। প্রাথমিকভাবে এমনটিই জানিয়েছে পুলিশ ও তার পরিবার। তবে এর পেছনে প্রেম সংক্রান্ত কোনো বিষয় আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লায় নিজ বাসার পাশের একটি নয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ২৩ বছর বয়সী জান্নাতুল হাসিনের মৃত্যু হয়। রাতেই কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন হাসিনের বাবা ইদ্রিস মেহেদী। বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

বুধবার রাতে হাসিনের বাবা বলেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মানুষের দোষ দিয়ে কী লাভ হবে! সে কোনো কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। তবে কী কারণে হতাশার মধ্যে ছিল সেটা আমি জানি না।

কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মেয়েটি হতাশা থেকে আত্মহত্যাই করেছে। আর প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে- এমন তথ্যও এসেছে। তবে পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার রাতে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে কুমিল্লা নগরীর বাসায় আসেন জান্নাতুল হাসিন। এরপর থেকেই মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিয়ে শ্যাম্পু আনার কথা বলে হাসিন বাসা থেকে বের হন। পরে পাশের গোল্ড সিলভার হোমস নামের একটি নয়তলা আবাসিক ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে মারা যান তিনি।