প্রতিনিধি।।
একেকটা কাউন্সিলে নাকি ৬০ লাখ ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়। এ টাকা কোত্থেকে আসে, কে দেয়, কারা দেয়? জানি না তারা কেন টাকা দেয়? যে নেতা তার কর্মীর কাছ থেকে টাকা নেয়, পদ বাণিজ্য করে, সে শুকরের মাংস খায়। যারা এ কাজ করে তারা ঘৃণার কাজ করে। যারা এটি করছেন তাদের মনটা কি ভিক্ষুকের মতো, ডাকাতের মতো নাকি চোরের মতো সেটা আপনারাই বলুন।' ১৫-১৬ বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা-মামলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন তাদের টাকায় হাত।
সোমবার বিকেলে তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে কুমিল্লা-২ হোমনা-মেঘনা আসন ও তিতাস উপজেলাবাসী তাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ সাবেক উপসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন খান জপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদমর্যাদা (গ্রেড ১) পদোন্নতি পান। এ উপলক্ষে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন আরও বলেন, পদ বিক্রির শিক্ষা বিএনপি দেয় নাই। বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই শিক্ষা দেন নাই, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়াা এই শিক্ষা দেন নাই, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই শিক্ষা দেন নাই। তিনি বারবার বলেছেন চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য।
সাবেক এই আমলা বলেন, রাজনীতিতে আয় করার জায়গা নয়, এইখানে ব্যয় করবেন। আমাকে যদি আপনারা ভোটের মাধ্যমে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন, খাদেম হওয়ার সুযোগ দেন তাহলে সবার আগে চাঁদাবাজি বন্ধ করবো। আমাদের নেতা-কর্মীরা কর্ম করে খাবে। তাদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করা হবে। তারা কর্ম করে হালাল খাবে। তারা চাঁদাবাজি করে শুকরের মাংস খাবে না।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সম্পাদক এমদাদুল হক ফুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মো. মনির হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আদিলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল মেম্বার, সাতানি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিবসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com