গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কুমিল্লা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে রং তুলি ফাউন্ডেশন এর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির ভলান্টিয়ার আবু শাহরিয়ার সিজান এর উপস্থাপনায় দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, বাংলাদেশ ইয়ূথ ক্যাডেট ফোরামের চেয়ারম্যান শাহ্ মজিবুল হক, কুমিল্লা সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো.আনোয়ারুল হক, কুমিল্লা পুলিশ লাইন হাই স্কুলের সাবেক শিক্ষক তাহমিনা শবনম। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মিনহাজুল ইসলাম সুজন। ভলান্টিয়ারদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি পিন্টু চন্দ্র সরকার, সংগঠনটির কুমিল্লা শাখার কো-অর্ডিনেটর আদিব হাসনাত, সংগঠনটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আলম, নয়ন ধর, ফাইরুজ অবন্তিকা, কাজী মুশফিক মশিউর অনম।
এছাড়াও দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত থেকে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাইফ বাবু বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত উপদেষ্টাদের মাঝে ধন্যবাদ স্মারক তুলে দেন । এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগঠনটির ভলান্টিয়ার এবং উপদেষ্টাদের নিয়ে কেক কেটে দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন করা হয়। এছাড়া এই প্রথম সংগনটির দশম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘‘রং তুলির ক্যানভাস‘‘নামে প্রকাশনা প্রকাশ করে যার মোড়ক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উন্মোচন করা হয়। দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভলান্টিয়ারদের মাঝে উপস্থিত ছিল তানভীর হাসান, মেহেদী সাব্বির, শারমিন শর্মি, সুব্রত চক্রবর্তী সুর্য, সোহেল রানা, সামিনা আক্তার, ইমন হোসেন, সায়মা আক্তার নিহা, ফারজানা আক্তার, নুসরাত আক্তার, সাজেদুল ইসলাম সিথিল, তাছলিমুল হাসান, জাফর আহমেদ শিমুল, নিহাল, ফারহানা আফরোজ, সিনথিয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য সংগঠনটি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর ১৭ টি থেকে ৬ টির অধীনে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে থাকে। ছয়টি লক্ষ্যমাত্রা হলো দারিদ্র বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি, সু-স্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, লিঙ্গসমতা ও জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ ইত্যাদি। এছাড়াও সেবা-সম্মাননা, শিক্ষা-বৃত্তি প্রদান, সচেতনতা মূলক কর্মসূচী, রক্তদান কর্মসূচী, গুরত্বপূর্ণ দিবস উৎযাপন, গতিশীল কর্মপদ্ধতি ও সু নাগারিক সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্কুল , কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কর্মশালা,সেমিনার, আলোচনা,বিতর্ক ও সাস্কৃতিক কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে যা তরুণ প্রজন্মকে ভবিষৎ নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হয়। এবং গেীরবোজ্জল ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা থারন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি এং একই সাথে নৈতিক মূল্যবোধ ,দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।