কুমিল্লা সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে ঈদের পরদিন কেটেছে উৎসব ও আনন্দের মধ্য দিয়ে। রসুলপুর মিলিনিয়াম ক্লাবের আয়োজনে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ।

সকাল থেকে রাত অবধি রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলে এই মনোজ্ঞ  অনুষ্ঠান। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়েছিলো এই অনুষ্ঠানে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা পরিবেশন করেন গান, কবিতা ও নৃত্য। আনন্দঘন এই পরিবেশে গ্রামবাসী একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এতে অংশগ্রহণ করে রসুলপুর গ্রামের ছেলেবুড়ো সবাই। কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্নজনকে  সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্য ছিলো বাংলাদেশ সরকারের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আরো অনেকে।

সম্মাননা অনুষ্ঠান বিষয়ে  ব্যবসায়ী নেতা  আবুল খায়ের সুমন বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ঈদের আনন্দকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং গ্রামের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করা। এই আয়োজনকে আমরা প্রতিবছর বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা করছি।

এই আয়োজন রসুলপুর গ্রামে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে ঈদ শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ না থেকে হয়ে উঠেছে সামাজিক বন্ধনের প্রতীক।

সংবর্ধিতদের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নয়ন তারা বলেন, এই আয়োজন আমাদের সবাইকে এক করেছে। গ্রামের সৌহার্দ্য সম্প্রতি বজায় রাখতে এমন আয়োজনের বিকল্প নেই। গ্রামের মানুষজন একত্র হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে, এটিই আমাদের  ঐক্যের প্রমাণ। এধরনের আয়োজন প্রতিবছর করার উদ্যোগ নেয়া হউক।