প্রতিনিধি।।
রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
শুক্রবার (২ মে) উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউপি-১ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহি স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অনুকূলে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা এবং নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্য ব্যক্তিকে হস্তান্তর, সচেতনতার অভাব, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ জন্য আবু তাহেরকে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, গত বছরের ১১ জুন ঢাকা বিমানবন্দরে ভিয়েতনামে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ হুমায়রা ও শারমিন আক্তার নামের দুজন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫ জুন কুমিল্লা ডিএসবির উপপরিদর্শক ইমাম হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ২৭ জুন থানা পুলিশ হুমায়রা ও শারমিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর জানা যায়, এ দুই রোহিঙ্গা নারী উপজেলার চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিমাতলী গ্রামের কাজী শামছুল হকের ছেলে কাজী খবির উদ্দিনকে পিতা সাজিয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুটি জন্মসনদ তৈরি করেন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে ভিয়েতনামে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর ঘটনাটি জন্ম নিবন্ধন শাখার রেজিস্ট্রার জেনারেল আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করলে তার জবাব দেই। এ ছাড়াও জন্ম সনদ গ্রহীতার কথিত পিতা কাজী খবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ডিএসবি মামলা দায়ের করেছিলো। সেই মামলায় পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ সেই অভিযোগপত্রে আমাকে স্বাক্ষী করে। এরপরও আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com