লকডাউন হচ্ছে কুমিল্লা নগরীর ৩,১০,১২ ও ১৩নং ওয়ার্ড
অফিস রিপোর্টার।।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪টি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হবে। আগামী ২০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, লকডাউনে থাকা ওই চারটি ওয়ার্ডের পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসন ১০ কেজি করে চাল দিবেন। এছাড়া তেল ডাল,পিয়াজসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দিবেন এমপি বাহার। ডিসি অফিস থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কার্ড দেয়া হবে। লকডাউনকরা সময়ে সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়ার বিষয়টি স্ব-স্ব এলাকার কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকায় শুধু এটিএমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে। কোন প্রকার ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।
সূত্রমতে, ৩নং ওয়ার্ড নগরীর রেইকোর্স,পুলিশ লাইনসহ অন্যান্য এলাকা, এখানে রোগী ৪৭জন। ১০নং ওয়ার্ড ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়,ঝাউতলাসহ অন্যান্য এলাকা,এখানে রোগী ৬৫জন। ১২নং ওয়ার্ড উত্তর চর্থা, নানুয়ার দিঘিরপাড়সহ অন্যান্য এলাকা,এখানে রোগী ১৯জন। ১৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ চর্থাসহ অন্যান্য এলাকা,এখানে রোগী ৩২জন।
সভা শেষে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডে আগামী ২০ জুন রাত থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এ সময় জরুরী সেবার অংশ হিসেবে হসপিটাল ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। এমনকি কোন ডাক্তার চেম্বার করতে পারবে না। ঔষধ ও মুদি দোকান খোলা থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর জানান, নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুলিশ সুপার মোঃ সৈয়দ নুরুল ইসলাম আইনশৃংখলা পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন। এছাড়াও পুলিশ সুপার কার্যালয় স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ও করবেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সাথে র্যাবের যৌথ সমন্বয় থাকবে।
সভায় জানানো হয়েছে কারো কোন উপসর্গ না থাকলে করোনার পরীক্ষা না করানোর জন্য। লকডাউনের সময় কুমিল্লা ইপিজেড সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ সময় কোন চাকুরীজীবীকে জোর করে কাজে না আনার জন্য মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে।
সভায় করোনা আক্রান্ত ও রোগীর বিষয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ মজিবুর রহমান ও জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াতুজ্জামান, ৩১ বীরের অধিনায়ক লে.কর্নেল মাহবুব আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর শাখাওয়াত হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।