লালমাইতে আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টা ৩ মামলা

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভায় হামলা, ভাংচুর ও গুলির ঘটনায় পাল্টা ৩টি মামলা হয়েছে। বিএনপির দুইটি মামলার বাদী বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম এবং মনির হোসেন। লালমাই থানায় মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম। বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির দুটি মামলা তদন্তের জন্য বিচারক জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগে প্রেরণ করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির মামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে বিএনপির কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সভা শুরুর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে হামলা,গুলি ও লুট করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীনসহ এজাহার নামীয় ৫০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দিকে একই ঘটনায় গুলিবিব্ধ হয়ে আহত যুবদল কর্মী ও লালমাই উত্তড্ডা গ্রামের মনির হোসেন দ্রুত বিচার আদালতে অপর মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের মজুমদার, শাহ আলম ও আয়াত উল্লাহসহ এজাহারনামীয় ১৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উভয় মামলায় করা অভিযোগ অস্বীকার করে লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন জানান, বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা, সেই দিন আওয়ামী লীগের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় লালমাই থানায় ২৬ বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে বুধবার লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। এতে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনের নামে মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৬ আগস্ট বেলা ২টা ১০ মিনিটে লালমাই উপজেলার উন্দানিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা করেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগের অন্তত ১২ জন আহত হন।
মামলায় গুলিবিদ্ধ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মনির হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানের নামও আছে।
বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট হয়েছে, আমাদের লোক গুলিবিদ্ধ হলো। এখন উল্টো আমাদের নামে মামলা দেয়া হলো।