শান্তিরক্ষী মিশনে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে ১৮ লক্ষ টাকা প্রতারণা

প্রতিনিধি।।
শান্তিরক্ষী মিশনে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারী ও তার চক্রের বিরুদ্ধে। জোড়া দম্পতিসহ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়ন থেকে মূলহোতাসহ আটজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১১ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন।
গ্রেফতার হয়েছেন, মূলহোতা লক্ষীপুর জেলার পশ্চিম জামিরতলী এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে নুসরাত জাহান জান্নাত (২৭), তার স্বামী আমির হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ নগর এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে সাহাবুদ্দিন ওরফে আলাউদ্দিন,তার স্ত্রী মোহাম্মদ নগরের আমির হোসেনের মেয়ে পারভীন আক্তার, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মোঃ সোলায়মান মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াস হোসেন, সদর দক্ষিণ থানার ফাতেমা আক্তার (৩৫), বরুড়া থানার মোঃ বশির উদ্দিন।
এই কর্মকর্তা জানান, একই ধরনের প্রতারণার শিকার দুইজন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। প্রথম ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, জুলাই মাসে নুসরাত জাহান জান্নাত নামের এক মহিলা নিজেকে শান্তিরক্ষী মিশনে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয়ে তার বাসার ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। প্রথম ভুক্তভোগীকে জানায়, তার স্বামীর সরকারি অনুদানের টাকা ব্যাংকে আছে। উক্ত টাকার পরিমাণ ১ কোটি টাকা। যা উত্তোলন করতে ব্যাংকে ১০শতাংশ হারে ভ্যাট হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে। তার নিকট ২লক্ষ টাকা রয়েছে। তাকে ৮ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে দিতে পারে তাহলে সে তার অনাথ ছেলেকে নিয়ে বাঁচতে পারবে। একইসাথে টাকা উত্তোলনের ৩০ মিনিটের মধ্যে তাদের টাকার সাথে ১লক্ষ করে অতিরিক্ত টাকা ফেরত প্রদান করবে। প্রথম ভুক্তভোগী ৮ আগস্ট ৮ লক্ষ টাকা দেয়। টাকা পাওয়ার পর পরই জান্নাত উধাও হয়ে যায়।
একইভাবে আরেকজন ভুক্তভোগী জানান, তার পার্শ্ববর্তী ফ্ল্যাটের একজন মহিলা একই ধরনের গল্প বলে তার কাছ থেকে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ২ ঘন্টার জন্য ধার হিসেবে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন জানান, আমরা তদন্ত করে দেখি দুইটি ঘটনায় একই চক্র জড়িত। তাদের গ্রেফতারের পর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।