অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন শাসনগাছায় জামিল হাসান অর্ণব নামের এক যুবক দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ২৫জন অস্ত্রধারীকে শনাক্তের পর নজরদারিতে রেখেছে। কুমিল্লা নগরী সংলগ্ন ভারত সীমান্তেও নজরদারী করা হচ্ছে। যেন কোন আসামি পালিয়ে যেতে না পারে। পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শনিবার সন্ধ্য্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। এদিকে শনিবার জোহর নামাজের পর শাসনগাছা ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় জানাজা শেষে অর্ণবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাসনগাছা বাস টার্মিলের লেগুনের স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে স্থানীয় দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। এনিয়ে টার্মিনালের পাশে দ্ইু পক্ষ শুক্রবার সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মধ্যমপাড়া দপাদার বাড়ির মো. আজহার মিয়ার বড় ছেলে জামিল হাসান অর্ণব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অর্ণব ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হন আরও তিনজন।
অপরদিকে সংঘর্ষের তিন মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, এক পক্ষের লোকজনকে অন্য পক্ষের ওপর গুলি,ককটেল ও ইট মারতে দেখা যায়। তাদের তিন- চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০-১২জনের হাতে রাম দা দেখা যায়। কয়েকজন মুখে মাক্স পরা ছিলেন। অন্য পক্ষকে ভিডিওতে দেখা যায়নি, তবে গুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ককটেল ও ইট ছুড়ে মারে।
জামিলের বাবা মো. আজহার মিয়ার বলেন, ‘তার ছেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে পড়তেন। শাসনগাছা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সড়কে লার্নিং হোম নামের একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। এ ছাড়া শাসনগাছা বাস টার্মিনালে সততা পরিবহনের বাস কাউন্টারে কাজ করতেন। বাস টার্মিনালের স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। তবে তার ছেলে এতে জড়িত ছিল না। অর্ণব জুমার নামাজ পড়ে ঘরে ফিরছিল। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে সে গুলিতে নিহত হন। তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। তার বুকে গুলি লাগে।’
জামিল হাসানের মা ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে অর্ণব সবার বড়। ছেলেটা সংসারের জন্য পরিশ্রম করতেন। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান।’
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘ শাসনগাছা এলাকার মোল্লাবাড়ি ও মধ্যমপাড়া এলাকার লোকজন বাস টার্মিনালের লেগুনা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে একজন মারা যান। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ’
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com