আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির মূল আসামিদের আটক করে আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে আদালতে মামলার চার্জশীট দাখিল করা হবে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সিংহভাগ তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলার বাকি কাজ শেষ হবে। তবে রিমান্ডে থাকা চার আসামির কাছ থেকে যে সব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো আরো ভালোভাবে যাচাই বাছাইয়ের জন্য রিমান্ডে থাকা চার আসামির জন্য শুক্রবার আরো ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি) কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এঘটনায় নেপথ্য কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছেন। আমরা দুটি মামলার তদন্তভার পেয়েছি। একটি হলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় মণ্ডপে কোরান রাখায় ইকবাল, পুলিশকে ৯৯৯ এ কল করা ইকরাম, মাজারের দুই খাদেম হুমায়ুন ও ফয়সাল রয়েছেন।
এছাড়াও ঘটনার সময় লাইভ করা ফয়েজ আহমেদ। যার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ দুটি মামলা আমরা তদন্ত করবো।
এদিকে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চারজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
গত ২৩ অক্টোবর কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক বেগম মিথিলা জাহান নিপা এ আদেশ দেন। ইতিমধ্যে রিমান্ডের তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে ইকরাম ও ইকবালসহ মাজারের দুই খাদেম হুমায়ুন ও ফয়সাল এ ঘটনার নেপথ্য কারা জড়িত এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
উল্লেখ্য- কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে ১৩ অক্টোবর পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com