প্রতিনিধি।
কুমিল্লার চান্দিনায় শ্বশুর বাড়িতে জামাতাকে শিকল বেঁধে আটকে রেখে মারধরের পর জনি (২৬) নামে যুবকের মরদেহ মিলল পাশের গ্রামের একটি পুকুরে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সোমবার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আরমান হোসেন জনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জামাতা আরমান হোসেন জনি পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় পিকআপ চালক।
নিহতের পিতা মজিবুর রহমান জানান, গত ৬ মাস পূর্বে ছেলেকে চান্দিনা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে বিয়ে দেই। শিল্পী আক্তার পূর্বে বিবাহিতা ও এক সন্তানের জননী। বিয়ে পরও শিল্পী তার পূর্বের স্বামীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ১০ দিন পূর্বে আমার পুত্রবধূ তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ছেলেও শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার পর তারা ছেলেকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত প্রায় ১০টার দিকে ছেলের শ্বশুর ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। সকালে শুনি ছেলের লাশ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
নিহত জনির স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানান, জনি মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই আমাকে মারধর করতো। বাপের বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। রাত ১টার দিকে সে (স্বামী) হাতের শিকল খুলে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় আমরা থানায় জিডি করতে আসলে শুনতে পাই তার লাশ একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক রাকিব হাসান জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখতে পাই। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য এসেছেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, ঘটনার পরপর ঘটনা¯’লে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) ফয়েজ ইকবাল মহোদয়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি টিমসহ চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যব¯’া গ্রহণ করবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com