‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ স্বর্ণালঙ্কার খোয়ালেন নারী!

আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার হোমনায় অফিসে যাওয়ার পথে কথিত ‘শয়তানের নিঃশ^াস’ চক্রের খপ্পরে পড়ে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন খোয়ালেন এক চাকুরিজীবী নারী। বুধবার উপজেলার কফিল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যলয় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত কোনো এক স্থানে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে হাতে ব্যাগ ও চানাচুরের প্যাকেট ধরিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রাহিমা আক্তার।
পুলিশের ধারণা, ‘শয়তানের নিঃশ^াস’ নামের স্কোপোলামিন ড্রাগ প্রয়োগ করে রাহিমা আক্তারকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে তার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে।
রাহিমা আক্তার উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের মো. আহসান কবীরের স্ত্রী। তিনি চাকুরি করেন উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। অফিসের যাওয়ার পর তাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন, আনমনা, অন্যমনষ্ক ও অস্বাভাবিক ভাব দেখে কলিগরা তার বাসায় খবর দেন। স্বাজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে দুপুরে থানয় গিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের এসআই ইকবাল মনির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছেন।
রাহিমা আক্তার বলেন, বুধবার অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর কফিল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটের কাছে এলে ওই চক্রের ১০-১২ বছরের এক শিশু সদস্য তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এসময় কান্না কান্না কণ্ঠে তার মাকে ফোন দেওয়ার কথা বলে তার (রাহিমার) কাছে মোবাইল ফোনটি চায়। প্রথমে তিনি দিতে অস্বীকার করলেও পরে চোখের পানি দেখে মায়ায় পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলটি এগিয়ে দিলে সেও একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ও একটি চানাচুরের প্যাকেট তাকে ধরিয়ে দেন। রাহিমা ব্যাগ ও চানাচুরের প্যাকেটটি হাতে নিলে শিশুটি মোবাইল ফোন কানে ধরে সামনে চলতে থাকে। রাহিমাও তার পিছু পিছু হাঁটতে থাকেন। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ হয় আরও দুই যুবক। এক সময় স্কুল মার্কেট থেকে চৌরাস্তার পর্যন্ত কাছাকাছি কোনো এক স্থানে গিয়ে একজন সঙ্গে টাকা পয়সা আছে কিনা জানতে চায়। টাকা নেই বললে এক যুবক তাকে গলার চেইন ও কানের দুল খুলতে বলেন। রাহিমাও বিনাবাক্যে এক ভরি চার আনা ওজনের লকেটসহ গলার চেইন ও তিন আনা ওজনের কানের দুল জোড়া খুলে ওই চক্রের হাতে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। মালামাল উদ্ধার এবং ওই চক্রটিকে ধরতে ইতোমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে।