সংবর্ধনা ঘিরে নগরীতে আলোকিত সন্ধ্যা


প্রতিনিধি।।
একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে কুমিল্লা নগরীতে প্রিয়জন আড্ডার আয়োজন করা হয়। এতে নগরীর বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা বসে। কুমিল্লা নগরীর নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে শুক্রবার সন্ধ্যায় আলোকিত বজ্রপুর এই আয়োজন করে। এতে সংবর্ধনা দেয়া হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার ধারাভাষ্যকার বদরুল হুদা জেনুকে। সেই সন্ধ্যায় ভিডিও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান,আমিনুল ইসলাম বুলবুল,হাবিবুল বাশার সুমন ও সাবেক খেলোয়াড় এনামুল হক মনি। আরো ভিডিও বক্তব্য দেন ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্র ও প্রবাসী সাংবাদিক তানভীর আহমেদ।

inside post


স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক,অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান,ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব কাজী দেলোয়ার হোসেন,নজরুল গবেষক ড.আলী হোসেন চৌধুরী,পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, নাট্যশিল্পী শাহজাহান চৌধুরী,ডা.ইকবাল আনোয়ার,সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল,আমোদ সম্পাদক বাকীন রাব্বী,অধ্যক্ষ আবুল হোসেন,সাবেক ফুটবলার হরে কৃষ্ণ সাহা,আবৃত্তি শিল্পী কাজী মাহতাব সুমন। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করেন চৌধুরী ওয়াসিফ আলী প্রবাল।


পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বদরুল হুদার জেনুর ছেলে তাওফিকুল হুদা মুগ্ধ। অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত অতিথি বদরুল হুদা জেনু।
ধন্যবাদ জানান আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল। সংগীত পরিবেশন করেন,শ্রেয়সী পাল ও কমল দাস। কবিতা আবৃত্তি করেন সাইদুর তাইফ ও আছিয়া তাছনিম। বাঁশির সুর পরিবেশন করেন টুটুল চক্রবর্তী। উপস্থাপনা করেন দিদারুল হক রিমন,হাছিবুল হাসান সুমন,সুপ্রিয়া রায় ও হেরা ফালাক আলীশা। এছাড়া বদরুল হুদা জেনুর জীবন কর্ম নিয়ে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।
এতে বক্তারা বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের একজন প্রতিথযশা সংগঠক বদরুল হুদা জেনু। তার প্রতিভা কাজে লাগানো গেলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরো বেশি সমৃদ্ধ হতো। এছাড়া সমাজের নানা অনিয়মে তিনি সামনে গিয়ে দাড়িঁয়ে যান। কথা বলেন। প্রতিবাদ জানান। আবৃত্তি ও উপস্থাপনা,ধারাভাষ্য,সাংস্কৃতিক আয়োজনেও তিনি কুমিল্লার প্রিয়মুখ।
বদরুল হুদা জেনু বলেন, আমি কাজ করে গেছি। কারো ক্ষতির চেষ্টা করিনি। আমি সাধারণ মানুষকে সংবর্ধনা দিয়ে আলোকিত বজ্রপুরের কোন লাভ হবে না, তবুও তারা এই সুন্দর আয়োজন করেছে। আমি তাদের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।

আরো পড়ুন