সক্ষমতার সবটুকু প্রয়োগের আশ্বাস রিটার্নিং কর্মকর্তার
উৎসব উৎকণ্ঠার ভোট শনিবার
অফিস রিপোর্টার ।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের(কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (৯ মার্চ)। ইভিএমের মাধ্যমে এই নির্বাচন ঘিরে নগরীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পোস্টারে ঢেকে গেছে নগরী। যেন বিয়ে বাড়ির সাজ। সাথে রয়েছে উৎকণ্ঠাও। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে পথে দাঁড়িয়ে বাধা,বুথে প্রভাবিত করতে পারে বলে অভিযোগ করছেন কয়েকজন প্রার্থী। প্রার্থীর সমর্থক ও আত্মীয়স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠেছে। সারা কুমিল্লাকে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আনার দাবি করেছেন প্রার্থীরা। এদিকে শুক্রবার (৮ মার্চ) কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ভোটগ্রহণের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং আনসার সদস্যরা এসব সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। এর আগে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
সূত্র জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন টেবিলঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭ টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্র নিয়ে এই ভোট হবে। পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ২৮২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৪০টি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১০৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং ৬৪০ জন, পোলিং এজেন্ট এক হাজার ২৮০ জন। ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। ১০৫ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ প্লাটুনে ৪৫০ জন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব ২৭টিমে ৯৩৯ জন, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১৩৩৯ জন ও নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকবেন। এছাড়াও দুইটি থানার দুইটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, কুমিল্লাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও। কোনো বিশৃঙ্খলা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, শনিবারের নির্বাচনে আমরা সক্ষমতার সবটুকু প্রয়োগ করতে চাই। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। তারপরও যদি নেতিবাচক ঘটনা ঘটে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে যাতে ফোর্স সেখানে যেতে পারে, সে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা চেয়েছি, কমিশন তা পুরোপুরি দিয়েছেন।