বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। মানুষকে আলোকিত করতে, চিন্তার পরিধি বিস্তৃত করতে এবং সঠিক জীবনদর্শন গড়ে তুলতে বই পড়ার কোন বিকল্প নাই। আজকের তরুণ প্রজন্ম যদি নিয়মিত বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তবে তারা জ্ঞানসমৃদ্ধ, দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে ওঠবে। তাই প্রত্যেককে প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বইয়ের জন্য ৬০ মিনিট' প্রচারণার উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বই পড়ায় সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সম্পৃক্ত ও আগ্রহী করে তুলতে ‘বই এর জন্য ৬০ মিনিট' নামে বিশেষ প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে প্রথমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং লাইব্রেরির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে এক আলোচনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রচারণার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন আরও বলেন, ‘বই এর জন্য ৬০ মিনিট ’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঠকেরা প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা বই পড়ার প্রতি উৎসাহিত হবেন। এই উদ্যোগ কেবল পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবেনা বরং লাইব্রেরিকে সংস্কৃতি চর্চার একটি প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেন, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাবলিক লাইব্রেরি অনেক পুরাতন বইয়ের মাধ্যমেও সমৃদ্ধ। আমরা চেষ্টা করছি পাঠকদেরকে নানান সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে। ইতিমধ্যেই অনেক উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে আরো কিছু কাজ বাকি আছে যা অচিরেই শেষ হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরি সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, জেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরি নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বই পড়া প্রকল্পটিকে সময়োপযোগী এবং ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে উপস্থিত সুধীজন স্বাগত জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন প্রবেশপথ পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার ভূয়সি প্রশংসা করেন। তিনি লাইব্রেরি চত্বরে কাঠগোলাপ গাছের চারা রোপণ করেন, জেলা প্রশাসক শিউলি ফুলের চারা রোপন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত লাইব্রেরির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। লাইব্রেরি পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন পরিদর্শন খাতায় তার মন্তব্য প্রদান করেন।