অফিস রিপোর্ট।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লার উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে “কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এতে ৭০ভাগের বেশি মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। তবে মাঠের কিছু কর্মীদের মুখে হাসি থাকলে সেবা গ্রহীতারা আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।
সনাক সদস্য বদরুল হুদা জেনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক সহ-সভাপতি অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র রায়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সহ-সভাপতি আইরিন মুক্তা অধিকারী।
সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক দিলনাশি মোহসেন পাওয়ার পয়েন্টে কমিউনিটি মনিটরিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রাপ্ত ফলাফলের আলোকে স্থানীয় পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ভূমিকা পালনে উদ্যোগী হবে।
সিভিল সার্জন ডা: মীর মোবারক হোসাইন বলেন, আমাদের কিছু ক্রটি বিচ্যুতি আছে। তবে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার। কুমিল্লায় প্রথম প্রান্তিক পর্যায়ে টিকা প্রদান ব্যবস্থা চালু করেছি। যার অনেক পরে জাতীয় পর্যায়ে চালু হয়। সদর উপজেলা হাসপাতাল কেন্দ্রে একদিনে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়।
বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: নির্সগ মেরাজ চৌধুরী, আদর্শ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামসাদ রব্বানী খান, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব রায়, বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন, সনাক সদস্য আলহাজ¦ শাহ মো: আলমগীর খান, সাংবাদিক অশোক বড়ুয়া, মোতাহার হোসেন মাহবুব, মহিউদ্দিন মোল্লা ও টিআইবির এরিয়া কো- অর্ডিনেটর প্রবীর কুমার দত্ত।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com