সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে বাড়ি পৌঁছে দিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
অফিস রিপোর্ট।
নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে তাদের বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার সকাল ৬ টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী বাসের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়। পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেলেও প্রশাসনের এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত ১৩ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা নিতে শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে গত ২৫ জুন সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ। প্রশাসনের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বাড়ি ফেরার অনিশ্চিয়তার সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই শিক্ষা পরিষদের একই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তানুযায়ী, ২৬ জুন সকাল ৬ টায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখী চারটি করে আটটি বাসের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ দু’বিভাগে আরও দুটি বাস দেওয়া হয়। এছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহগামী দু’টি করে চারটি এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে একটি করে আটটিসহ সর্বমোট ১৮ টি বাসের ট্রিপ পরিচালনা করা হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নিশা বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি ফেরাটা অনেক যন্ত্রণার। তবে পরিবহন সুবিধা দিয়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কষ্ট লাঘব করেছেন। আমার শহরে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস এই জিনিসটা সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিজের শহরে আসার অনুভূতিটাই অন্যরকম।এছাড়াও শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাগাভাগি করছেন সারাদেশ ঘুরে বেড়ানো এসব বাসের বিভিন্ন স্থির ও চলমান চিত্র। এসব চিত্রে কখনো দেখা যাচ্ছে ফেরি পার হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ পদ্মা সেতুর ছবি, কখনো চট্টগ্রাম, কখনো সিলেট, রাজশাহী, কিংবা রংপুর বা বরিশালে তোলা বিভিন্ন ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজশাহীর সাগর আলী তার ফেসবুকে আইডিতে লিখেন, আমার আবেগটা (বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস) ঠিক আমার শহরের অভিমুখে। এইটা একটা অনুভূতি পাশাপাশি ইতিহাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বাড়িতে আসার অনুভূতি প্রকাশ করার শব্দ হয়তো খুঁজে পাবো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। সঙ্গত কারণে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বাসও অন্য জেলায় পাঠাতে হয়েছে।