‘সহ্যের দ্বিগুণ বেশি শব্দ দূষণ হয় কুমিল্লা নগরীতে’

প্রতিনিধি।।
কুমিল্ল নগরীতে সহ্যের দ্বিগুণ শব্দ দূষণ হয়। যার মধ্যে নগরের শাসনগাছা এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। শব্দ সহ্যের স্বাভাবিক মাত্রা ৪৫ ডেসিবল। তবে নগরীর কান্দিরপাড়ে ৮২.১ ডেসিবল, পুলিশ লাইনে ৭৯.৩ ডেসিবল, শাসনগাছায় ৯২.২ ডেসিবল, টমসমব্রিজে ৮০.৮ ডেসিবল, জাঙ্গালিয়ায় ৭৮.৭ ডেসিবল শব্দদূষণ হচ্ছে। এই শব্দদূষণ বেশি হয় সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। বুধবার বিশ্ব শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মোছাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব এই তথ্য তুলে ধরেন। সভার আগে একটি র‌্যালি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম আছাদুজ্জামান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুল আলম, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, কুমিল্লা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, কুমিল্লা জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো তাজুল ইসলাম ।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, শব্দদূষণের কারণে শ্রবণ শক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। শিশুর মেধাবিকাশ ব্যাহত হয়। দ্রুত নগরায়ণ ও নির্মাণ কাজে যন্ত্রাংশের ব্যবহার, হাইড্রোলিক হর্ন, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। বর্তমানে শব্দদূষণের কারণে ৪০ শতাংশ লোকের কানে শুনতে সমস্যা হয়, মাথা ধরা ২৫ শতাংশ লোকের, পারস্পরিক কথা বলতে সমস্যা হয় ২০ শতাংশ, বাকি ১৫ শতাংশ হয় অন্যমনস্কতা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন ও ঝিমুনিতে আক্রান্ত। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে নীরব এলাকা ঘোষণা করতে হবে। মাইকের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। চাইলে ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করেও প্রতিকার চাইতে হবে।