সাক্কু-কায়সারের আশঙ্কা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না

 

মহিউদ্দিন মোল্লা

প্রচারণার আর দুই দিন বাকি। গণসংযোগ ও প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। মাইকের শব্দ আর প্যারোডি গানে মুখর নগরী। প্রচারণার পাল তুলেছে নৌকা প্রতীক, ঘুরছে ঘড়ি,ছুটছে ঘোড়া। প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সাবেক মেয়র সাক্কুর দুর্নীতির বিষয়ে বলছেন। টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার আশঙ্কা করছেন ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনের দিন সকালে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন হতে বহিরাগতদের কেন্দ্রের সামনে রাখা হবে, যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে না যেতে পারে।

শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থী,ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মোঃ মনিরুল হক সাক্কু নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সার নগরীর ছাতিপট্টি এলাকায় গণসংযোগ করেন।
নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লা শহরের প্রধান যে সমস্যা সেটা হলো অল্প বৃষ্টিতেই শহর পানির নিচে থাকে। টাকার বিনিময়ে আগের মেয়র সাক্কু অপরিকল্পিত ভবন- ইমারতের পারমিশন দিয়েছেন, এগুলোর জন্য ড্রেন সংকুচিত হয়েছে।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, যেখানে আমি ওয়ার্ক করতে যাচ্ছি সেখানেই ওয়ার্ক শেষে আমার কর্মীদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আশঙ্কা করছি নির্বাচনের দিন সকালে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন হতে বহিরাগতদের প্যানিক সৃষ্টি করার জন্য কেন্দ্রের সামনে রাখা হবে, যাতে ভোটাররা না যেতে পারে। ভোট দিতে গিয়ে এ অবস্থা দেখলে ভোটাররা ভোট না দিয়ে বাসায় চলে যাবে। আমি অনুরোধ করবো সিইসি, রির্টানিং কর্মকর্তা যেনো এই বিষয়টা দেখে।
ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, মানুষের মধ্যে আশঙ্কা আছে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। পুরো নির্বাচনী এরিয়াই ঝুঁকিপূর্ণ, পুরো এলাকাতেই নিছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী। ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১০৮জন,সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৮ জন। মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০জন। কেন্দ্র ১০৫টি। সব গুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।