সাক্কু-সীমা মিল্যা, লুইট্যা খাইব কুমিল্লা-এমপি বাহার
তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
কুমিল্লা নগরীর সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে চোর-লুটেরা উল্লেখ করেছেন সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এমন মন্তব্য করেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে সাক্কু না ঈগলের আছিলো? আছিলো না বলেন? সাক্কু ভেবেছিল সীমা এমপি হলে সে মেয়র হবে। তারপর দুই ভাইবোন মিল্যা, লুইট্যা খাইব কুমিল্লা। কিন্তু আপনারা তা হতে দেননি। ( প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংসদ নির্বাচনে এমপি বাহারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।) ওপরে আল্লাহ আছে, আগামীর মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা। আমার মেয়ে বলে বলছি না। তার ধমনীতে আমার রক্ত। সে কখনো অসৎ হতে পারে না। আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে হারাতে পারবে না। সংসদ নির্বাচনে ১৫২টি কেন্দ্রের কর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করেছে। এবার ১০৫টি কেন্দ্রে ওই ১৫২ কেন্দ্রের কর্মীরা সূচনার পক্ষে কাজ করবে। ( সদর আসনে ৬টি ইউনিয়ন পরিষদসহ ১৫২টি কেন্দ্র, সিটিতে ১০৫)।
এমপি বাহার বলেন, আমি টাকা-পয়সা না আনলে সিটি করপোরেশনে কোনো কাজ হতো না। কিন্তু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোক মানুষের হক খেয়ে ফেলেছে। আমি মরে গেলে কুমিল্লার উন্নয়ন হবে না। অনেকে বলে, সাক্কু ভাই ক্যানডিডেট! সে ক্যানডিডেট না, সে চোর-লুটেরা। কী কারণে আপনারা তাকে চুরির সুযোগ দেবেন? তাকে জেলে যেতে হবে। মানুষের হক মেরে খাওয়ার সুযোগ সে পাবে না।
এসব বিষয়ে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বাহার সাহেবের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি উগ্র আচরণ করছেন। আমি দুর্নীতি করলে আইন আছে। তিনি রাস্তাঘাটে মাইকিং করার কে?
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত। আগামী ৯ মার্চ এ সিটির উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।