অফিস রিপোর্ট।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার অভিযোগে কয়েকশত কৃষক বিক্ষোভ করেছে। রবিবার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সার ডিলার হাজী মোঃ শাহ আলমের ওয়াহেদপুর বাজারের সার দোকানের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সার নিতে আসা বাজারের ব্যাগ ও এলমুনিয়ামের বল, টুকরিসহ সার বহনের নানা সামগ্রী নিয়ে সার না পেয়ে কয়েকশত কৃষক বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
ওয়াহেদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ জামাল ভূঁইয়া জানান, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসেন মুকুল ভূঁইয়া সার ডিলারকে সতর্ক করে বলেন, এখন থেকে সার দোকানের সামনে লাল ব্যানারে সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং কৃষকের কাছে সার বিক্রয় করার সময় রসিদের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতে হবে। ওই নির্দেশনার পর আমি ১১শত ৩০ টাকার সার কিনি, তখন আমি রসিদ চাওয়াতে ডিলার সারের মূল্য ৮শত টাকা রেখে ৪৩০ টাকা ফেরত দেন। ওই ঘটনা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সার কিনতে আসা প্রত্যেক কৃষকই রসিদ দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতে সার ডিলার গত এক সপ্তাহ ধরে সার সংকট দেখিয়ে সার বিক্রয় বন্ধ রাখেন। রবিবার স্থানীয় কৃষকদের চাপে ডিলার সার গুদাম খুললে সেখানে অনেক সার মজুদ দেখতে পাই।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বস্তা সারে আমাদের থেকে ৬/৭শত টাকা করে বেশী নিতেন সার ডিলার।
সুবিল ইউনিয়ন’র সার ডিলার হাজী মোঃ শাহ আলম জানান, গত মাস পর্যন্ত পর্যাপÍ সার থাকলেও চলতি মাসে সারের সরবরাহ কম ছিল। তাছাড়া বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সার সংকট নিরসনে ভর্তুকী দিয়ে সার কিনে সরবরাহ করে আসছি। ভর্তৃকী দিয়ে কেনা সার ক্যাশ মেমোতে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের দেশে কোন সার সংকট নেই। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের সার বিলম্বে উত্তোলন হলে সংকট থাকতে পারে। প্রতিজন সার ডিলারকে বলা আছে লাল কাপড়ে মূল্য তালিকা লিখে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে সার বিক্রি করতে হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com