সেই ময়লার স্তূপ-জঙ্গলে এখন ভিক্টোরিয়া গার্ডেন

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।

নগরীর রাণীর দিঘির দক্ষিণপাড়। এখানে তৈরি করা হয়েছে ভিক্টোরিয়া গার্ডেন। পূর্বে এ স্থানটি ছিলো ময়লার স্তূপ, ঝোপঝাড়। সন্ধ্যা নামার সাথে নামতো আতংক ভয়। এখন সেখানে ফুল, পাতাবাহার, স্লিপার, দোলনা, পানির পোয়ারা আর রাতে নানা রঙের আলো। শিশুদের জন্য রয়েছে ইট, বালু, সিমেন্টের তৈরি হরিণ, বাজ পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণী।

 

সূত্রমতে, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের সামনের রয়েছে প্রায় ১০-১২ শতক জমি। এটি ছিলো ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ ড. আখতার হামিদ খানের বাস ভবন। যার মালিক ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। যুগেরও বেশি সময় এটি ঝোপঝাড় ছিলো।

এলাকাবাসীর কাছে ময়লার ভাগাড় হিসাবে পরিচিত। সিটি কর্পোরেশন এটিকে ভিক্টোরিয়া গার্ডেন নাম দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করেছে। এতে খুশি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

 

নানুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়ের ভিক্টোরিয়া গার্ডেনের সাথে রয়েছে ভিক্টোরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও দারুল ফালাহ কিন্ডারগার্টেন।

 

পাটোয়ারী জাহিদ নামের একজন ভিক্টোরিয়া গার্ডেনের ছবি ফেসবুকে দিয়ে লিখেছেন, আজ সকালে স্কুল থেকে বাসায় ফিরার পথে মেয়র সাক্কু সাহেবের দৃষ্টি নন্দন ফুল বাগান দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। বায়না ধরেন ছবি তুলতে। যে কথা সে কাজ। হয়ে গেলাম ফটোগ্রাফার।

এছাড়াও ভিক্টোরিয়া কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে ভিক্টোরিয়া গার্ডেনের ছবি দিচ্ছেন।

 

ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, স্কুলের সামনে ফুলের বাগান। এতে আমরা খুব খুশি। আগে ময়লা আবর্জনার ফলে চলাচল কষ্ট ছিলো। পেছনে তিনটি পরিত্যক্ত কক্ষ আছে, এগুলেতে মাদকসেবীদের যাতায়াত ছিলো। এখন রঙিন আলোকসজ্জা হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, এটি ভিক্টোরিয়া কলেজের জায়গা। এখানে কলেজের ভবন হবে। আমরা বড় একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। মেয়র সাহেবের সাথে কথা হয়েছে প্রকল্প অনুমোদন পর্যন্ত এখানে এ বাগানটি থাকবে। সিটি কর্পোরেশন তখন সব কিছু অপসারণ করে নিবে।

 


সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, শহরকে সুন্দর রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সবার সহযোগিতা লাগবে। আন্তরিকতা প্রয়োজন। আমার অর্থায়নে ভিক্টোরিয়া গার্ডেন তৈরি করেছি। জায়গাটাও সুন্দর থাকলো, স্কুলের বাচ্চারা খেলতে পারবে।