উন্নতি হচ্ছে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার
প্রতিনিধি।।
সেচে হাসছে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিন জেলার ২৭ হাজার হেক্টর জমি। গত কয়েক বছর আগেও জমি গুলো সেচ বঞ্চিত ছিলো। এতে বিঘ্নিত হতো ফসল উৎপাদন। সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে প্রতি বছর ১ লক্ষ ১৮হাজার ৬২৩ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রায় ১লক্ষ ২১ হাজার ১৩২জন কৃষক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন। ‘আধুনিক সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাব, ফলাফল ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের বক্তারা এই তথ্য জানান।
সোমবার বিএডিসি কুমিল্লা সেচ কমপ্লেক্সের সেমিনার হলে এই আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএডিসি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ।
সেমিনারে আরো জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকল্প প্রণয়নের সময় মোট সেচের জমির পরিমাণ ছিল ৩০০ হাজার হেক্টর। বর্তমানে প্রকল্প এলাকার মোট সেচের জমির পরিমাণ ৩৫২ হাজার হেক্টর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭ হাজার হেক্টরের বেশি সেচের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন,বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান ড.মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) প্রকৌশলী শিবেন্দ নারায়ণ গোপ। বিশেষ অতিথি ছিলেন,বিএডিসি সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মজিবুর রহমান,সদস্য পরিচালক(বীজ ও উদ্যান) মোস্তাফিজুর রহমান,স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপ-পরিচালক এসএম গোলাম কিবরিয়া, প্রধান প্রকৌশলী(সংরক্ষণ ও কারখানা) মু.বদরুল আলম,প্রধান প্রকৌশলী (নির্মাণ) মু. বদিউল আলম সরকার প্রমুখ।
মুক্ত আলোচনায় কৃষক নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো পুনঃখননে কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে। ধান, আলু, বেগুন, শিম, লাউ, বরবটি, ঢেরষ, শসা, তরমুজ, খিরা, বাঙ্গি, সরিষা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং তৈল ও মসলা জাতীয় ফসল আগাম উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খালের পাড় রাস্তায় পরিণত হওয়ায় কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি পণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে। এতে কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
প্রধান অতিথি বলেন,মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাব দুর্বল হয়ে পড়েছে সেখানে শুধুমাত্র সরকার প্রধানের নেতৃত্বের নৈপূণ্যতায় বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। দেশের কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তেমনি একটি সফল ও ফলপ্রসূ প্রকল্পের নাম ‘কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ৬৩০ কি.মি সেচ ও নিষ্কাশনযোগ্য খাল পুন:খনন, বন্যার কবল থেকে উৎপাদিত ফসল রক্ষার জন্য ৪০ কি.মি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ফসলী জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য ২৯ কি.মি অবকাঠামোসহ ভূগর্ভস্থ ড্রেনেজ পাইপ লাইন নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ শেষ হয়েছে। এতে এক ফসলী জমি দুই ফসলী জমিতে এবং দুই ফসলী জমি তিন ফসলী জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
এদিকে অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন উপজেলার ইউনিট অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com