সেলুন,বাস টার্মিনালের পর হাসপাতালে পাঠাগার
নগরীতে পাঠাগারের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীতে পাঠাগারের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেলুন,বাস টার্মিনালের পরে এবার হাসপাতালের রোগীর অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আলোকিত বজ্রপুর নামের সামাজিক সংগঠন এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর মেডিকমপ্লেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সৌহার্দ্য হাসপাতালে এই পাঠাগার স্থাপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল পাল,আলোকিত বজ্রপুরের প্রধান সমন্বয়কারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী, বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামান, নাট্য অভিনেতা শাহজাহান চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালক অ্যাড. তসলিমা বেগম, ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর, সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল ও হাসিবুল হাসান সুমন প্রমুখ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,হাসপাতালের ৩য় তলায় বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বার। পরামর্শ নিতে রোগীরা চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ বুক সেল্ফে রাখা বই থেকে নিজের পছন্দেরটা নিয়ে পড়ছেন। পাঠক আশিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক বলেন,আমরা চিকিৎসকের সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করি। সময় কাটতে চায় না। নানা উৎকণ্ঠায় থাকি। এসময় আলোকিত বজ্রপুরের বুক কর্নার থেকে বই নিয়ে সময় কাটাই।
মেডি কমপ্লেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সৌহার্দ্য হাসপাতালের পরিচালক অ্যাড. তসলিমা বেগম বলেন, মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার যুগে বই পড়ানোর চেষ্টা একটি ভালো উদ্যোগ। আমি আশা করি আলোকিত বজ্রপুর এই উদ্যোগ আরো সম্প্রসারিত করবে। ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন,কুমিল্লা শুধু ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর নয়। কুমিল্লা পাঠাগারেরও শহর। প্রতি পাড়ায় পাঠাগার ছিলো। এই শহরে উপমহাদেশ বিখ্যাত রামমালা পাঠাগার ও বীরচন্দ্র গণপাঠাগার রয়েছে। ছিলো বসন্ত পাঠাগারসহ বিভিন্ন পাঠাগার। আলোকিত বজ্রপুর সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চায়।
আলোকিত বজ্রপুরের প্রধান সমন্বয়কারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী বলেন, আমরা মানুষের পাঠ অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। সেলুন,বাস টার্মিনালের পরে হাসপাতালের রোগীর অপেক্ষার স্থানে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবেন। এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।