প্রতিনিধি।।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ক্ষুদিরাম পালের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলা হয়েছে কুমিল্লার আদালতে। তার মেয়েকেও আসামি করে মামলার চার্জশিট গঠন করেছে আদালত।
নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিবাদী বলছেন, এটি মিথ্যা মামলা।
মামলার তথ্যমতে, নোয়াখালী সোনাইমুড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্ষুদিরাম পাল। ২০২৩ সালের ৫ মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দশ লক্ষ টাকা ধার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা বরুড়ার উপজেলার মুদাফরগঞ্জের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন চন্দ্র দাশ। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ক্ষুদিরাম পালের মেয়ে রূপনা পাল ও রূপনা পালের স্বামী বিজয় কুমার দে।
বাদী সুজন চন্দ্র দাশ জানান, আমার খালাতো ভাই বিজয় কুমার দে ক্ষুদিরাম পালের জামাতা। বিজয়ের কথায় আমি ক্ষুদিরাম পালকে ১০ লক্ষ টাকা ধার দেই। এ বিষয়ে সকল প্রমাণ ও নন জুডিশিয়াল ৩০০ স্টম্পে চুক্তিনামা আছে। চুক্তি মোতাবেক সে আমার টাকা পরিশোধ না করায় এ বছরের জানুয়ারি মাসে মামলা করেছি। জুন মাসে এ মামলায় অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে আদালত।
এ মামলার প্রধান আসামী ক্ষুদিরাম পাল বলেন, এটি মিথ্যা মামলা। আমি জামিন নিয়েছি।
মামলার বিষয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। বস আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। খুব শিঘ্রই বিধি মোতাবেক যা করার আমরা তাই করবো।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরী বলেন, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায় থেকে তথ্য প্রমাণসহ জেলায় আসলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com