স্কুলছাত্রীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি
প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১১) বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
কিশোর- কিশোরী ও ভূমিহীন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা- পেন্নাই- মতলব সড়কের দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, কিশোর- কিশোরী, ভূমিহীন সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমম্বয়ক খায়রুল ইসলাম, কুমিল্লার অঞ্চল সমম্বয়ক আবদুল জব্বার, বিটেশ্বর এস আর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাউদকান্দির সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ, উপজেলা বাল্য বিয়ে ও যৌনহয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক রাব্বি ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্র সমাজের সদস্য শাহাদাত হোসেন, শিক্ষার্থী সুস্মিতা সূত্রধর প্রিয়া, ভূমিহীন দাউদকান্দি অঞ্চল কমিটি সভাপতি জারু মিয়া প্রধান, ভূমিহীন মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ রেখা রহমান ও ভুক্তভোগী শিশুর মা প্রমুখ।
এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
গত ১৫ নভেম্বর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখ এবং দু-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ১৮ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন ওই গ্রামের জিদান খান, ইমরান খান, শেলী আক্তার ও মিনা আক্তার। মামলার পর থেকে তাঁরা আত্মগোপন করেছেন। পুলিশও তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি।শিশুটির মা বলেন, শেলী আক্তারের দুটি হাঁস না পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর তাঁর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়ার একপর্যায়ে তাঁর শিশুকন্যাকে দিনদুপুরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটান শেলী, জিদান খান, ইমরান খান, মিনা আক্তারসহ আরও কয়েকজন। তাঁরা শিশুটিকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং নির্যাতনের ছবি-ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। বেদম প্রহারে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস বলেন, আসামিদের ধরতে গেলে আসামি শেলী আক্তার থানা-পুলিশকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।