অফিস রিপোর্টার।।
তার শুরুটা গল্পের মতো। সন্তান স্ট্রবেরি খেতে চেয়েছেন। তিনি কিনতে গিয়ে দেখলেন চড়া দাম। ইচ্ছে করলেন স্ট্রবেরি চাষের। কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তিনি শুরু করেন। এবার সাত শতক জমিতে চাষ করেছেন। সফলতার মুখ দেখেছেন। এখন প্রতিবেশীরা নতুন এই ফল দেখতে আসেন। আগামী বছর তিনি ৩০ শতক জমিতে চাষ করবেন। এই গল্পটা কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পশ্চিম সিংহ গ্রামের আবদুর রউফের স্ত্রী মোসাম্মদ হনুফা আক্তারের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,পশ্চিম সিং বলা গাজী বাড়ি। বাড়ির পাশে উঁচু জমি। সেখানে স্ট্রবেরির জমি। রঙিন স্ট্রবেরিতে জমি বর্ণিল হয়ে আছে। গৃহিণী হনুফা আক্তার স্ট্রবেরি তুেল পাত্রে রাখছেন। প্রতিবেশী শিশুরা জমির পাশে ভিড় করলে তাদের হাতেও ফল তুলে দিচ্ছেন। ক্রেতারা জমি থেকে কিনে নিচ্ছেন কেজি প্রতি ৬শ’ টাকা ধরে।
হনুফা আক্তার বলেন,আমার আগ্রহের কথা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম আপাকে জানাই। তিনি হর্টিকালচার থেকে চারা সংগ্রহ করে দেন। এই কাজে আমার প্রবাসী স্বামী ও বাড়িতে থাকা শ^শুর গোলাম মোস্তফা সহযোগিতা করছেন। প্রথমবার চাষ করেছি। অনেক প্রতিবেশী দেখতে এসেছেন। ১০ কেজির মতো বিক্রি করেছি। কয়েক কেজি স্বজনদের মাঝে বিতরণ করেছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে চাষের জন্য চারা করেছি। ফলের সাথে চারাও বিক্রি করছি।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার বলেন,হনুফা আক্তার উদ্যোমী কিষানি। তিনি নতুন ফসল করতে সব সময়ে আগ্রহী। তার দেখাদেখি অন্যরাও চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, স্ট্রবেরি বিদেশি ফল। এটি এখন কমিল্লায়ও চাষ হচ্ছে। আকর্ষণীয় বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও উচ্চ পুষ্টিমানের কারণে স্ট্রবেরি সাবার কাছে সমাদৃত। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হলেও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও এটি ব্যবহৃত হয়।