প্রতিনিধি ।
কুমিল্লার চান্দিনায় সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হালিমা খাতুন (৩৪) সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সি’র স্ত্রী। ঘাতক শাহিন মুন্সি নিহতের সৎ ছেলে ও এমদাদ মুন্সি’র চতুর্থ ছেলে।
জানা যায়- সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সির (৭৫) প্রথম স্ত্রী মারা যান তিন বছর আগে। তার চার ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল। তারা সকলেই বিবাহিত। চার ছেলে সৌদী আরব প্রবাসী। ছোট ছেলে শাহিন মুন্সি গত আট মাস আগে দেশে আসেন। এদিকে গত দুই মাস আগে এমদাদ মুন্সি দাউদকান্দির জয়নগর গ্রামের হালিমা খাতুনকে দ্বিতীয় বিবাহ করে সংসার করেন।
এমদাদুল হক মুন্সি জানান- বুধবার রাতে শৌচাগারে যাই। এসময় আমার স্ত্রী ঘুমাচ্ছিল। পাশের কক্ষে ছোট ছেলে শাহিন ছিল। আমি বাইর থেকে ঘরে প্রবেশ করে দেখি আমার স্ত্রী বিছানায় কাতরাচ্ছেন এবং সারা বিছানায় রক্ত রঞ্জিত হয়ে আছে। আমি চিৎকার দিলে পুত্রবধূসহ অন্যান্যরা ছুটে আসার পর আমি অ্যাম্বুলেন্স যোগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিই। সেখানে কাটাস্থানগুলো সেলাই করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তৃতীয় পুত্র বধূ শিরিনা আক্তার জানান- আমরা অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার শ^শুরের চিৎকারে শুনে এসে দেখি শাহিন ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। শ^শুর কান্নাকাটি করছে। আমার সৎ শাশুড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন।
বাতাঘাসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ জানান- এমদাদুল হক মুন্সি আমার খুব কাছের আত্মীয়। তাকে দ্বিতীয় বিবাহ করানোর পর পরিবারের কারও কোন আপত্তিও ছিল না। কি কারণে, কেন সৎ মাকে হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না। এ ঘটনার পর শাহিন পালিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান- ঘটনাস্থল থেকে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। স্বামী এমদাদ মুন্সি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com