অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪টি হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি ছানাউল্লাহকে আওয়ামী লীগের নৌকার দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রে নাম পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার বিষয়ে মেঘনা ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
সূত্রমতে, ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের মেঘনা থানায় হত্যাসহ ৯টি ও সোনারগাঁও থানায় ২টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও আরো রয়েছে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে চালিভাঙ্গা গ্রামে আব্দুল্লাহ হত্যা হাবু হত্যা, হানিফা হত্যা ও জহির হত্যাসহ চাঁদাবাজি, চুরি,বালু দস্যুতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তিনি কয়েকটি মামলায় প্রায় দুই বছর জেলও খেটেছেন, প্রতিটি মামলায় রয়েছে বিচারাধীন, অভিযুক্ত ছানাউল্লাহ রয়েছেন জামিনে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ সরকার বলেন,ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে। সে জনপ্রতিনিধি হলে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।
মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রতন শিকদার বলেন,তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বিষয়টি সঠিক। তবে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সুপারিশের কারণে তার নাম কেন্দ্রে পাঠাতে হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছানাউল্লাহ বলেন, আমরা চর এলাকার মানুষ। বাপ-চাচারা টেঁটা বল্লম নিয়ে প্রায় সময় মারামারি করতো। আমাদেরও অংশ নিতে হতো। আমার ১০/১২টা মামলা আছে। তার অধিকাংশ বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি সকল মামলায় জামিনে রয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ বলেন, ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে কিছু মামলা রয়েছে। সে মামলা গুলোর হাজিরা দিচ্ছে বলে জেনেছি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com