প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের ওপর হামলায় কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে ২জনকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘ দিন ধরে পাঠান বাহিনীর লোকজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলো। এরই জেরে গেলো বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন জহিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জহিরের বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে ওই মামলায় বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠানকে অন্যতম আসামি করা হয়। বর্তমানে আদালতে ওই মামলাসহ ১১টি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে। জহির হত্যাসহ কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য গত ২৩মে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর বাজারে নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়ার চায়ের দোকানে হামলা চালায় পাঠান বাহিনী।
নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়া জানান, জহির হত্যার মামলা তুলে নিতে মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন আমার দোকানে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। আমার এক ছেলে জহিরকে হত্যা করে। এখন আবার আমার আরেক ছেলে খায়েরকেও হত্যা করতে চায়। জহির হত্যা মামলা না তুললে যেকোন সময় আমাকে বা আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করে ফেলবে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে।
হোমনা থানার ও.সি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, স্বাক্ষীদের ওপর হামলার মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীপাচারসহ ১১টিরও বেশি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com