প্রতিনিধি।।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিহত আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছিল তার নিকটতম আত্মীয় সিরাজ। কিন্তু দীর্ঘদিন চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে সে। টাকা ফেরত চাইলে সিরাজ পরিকল্পিতভাবে আমিনুলকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে লাশ বালুচাপা দেয়। শনিবার র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত আমিনুল ইসলাম কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের আলী আজমের ছেলে। সিরাজ জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
র‌্যাব সূত্র জানায়,কুমিল্লায় আমিনুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সজীব নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। জেলার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এই সময় তার দেয়া তথ্যমতে হত্যার সময় ব্যবহার করা একটি দা এবং রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়। আটক সজীব (২০) কুমিল্লা চান্দিনা থানার বদরপুর এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজ ও তার সহযোগীরা আমিনুলকে সিলেট ভ্রমণের কথা বলে বাসা থেকে বের করে। ওই রাতে তারা কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার বিসমিল্লাহ আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। পরদিন (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তাফাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিছন থেকে গলা কেটে আমিনুলকে হত্যা করা হয়। লাশ বালু চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় তারা।
উল্লেখ্য , ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বালুর নিচ থেকে আমিনুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ১২ সেপ্টেম্বর সদর দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।