১৪শ’ টাকার জন্য তিন ব্যবসায়ীকে হত্যা, ১৬ বছর পর গ্রেফতার

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লাকসামে ১৪শ’ টাকার জন্য তিন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে ডাকাত দল। সেই ঘটনায় ৫আসামির সাজার রায় হয়। তাদের মধ্যে মধ্যে এক আসামিকে ১৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার করা হয় উপজেলার শ্রীয়াং দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত মোঃ সেলিম রেজার ছেলে মোঃ নেওয়াজ শরীফ রাসেল ওরফে সবুজ ওরফে বাবুকে (৩৭)। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র‌্যাব-১১ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। রবিবার রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে আসামি নেওয়াজ শরীফ রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব জানায়, প্রায় ১৭ বছর পূর্বে ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশার এক রাতে লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজারের দোকান বন্ধ করে কাচাঁমাল ব্যবসায়ী মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মনিন্দ্র দেবনাথ’র ছেলে উত্তম দেবনাথ ও পরীক্ষিত দেবনাথ, পান ব্যবসায়ী লাকসাম উপজেলার জগৎপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে বাচ্চু মিয়া বাড়ি ফিরছিলেন। তারা বদির পুকুর পাড় এলাকায় এসে পৌঁছালে আসামি শরীফ রাসেলসহ আরো কয়েকজন তাদের ঘিরে ফেলে। তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ব্যবসায়ীদের ভয় দেখায়। তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি রাসেল ও তার সহযোগীরা তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে থাকা ১৪শ’ টাকা আসামিদের দিয়ে দেয়। ভিকটিম উত্তম দেবনাথ আসামি রাসেল ও তার সহযোগীদের চিনতে পেরেছে এবং পরের দিন স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের নিকট তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করবে বলে চিৎকার করে উঠে। আসামিদের চিনে ফেলায় ব্যবসায়ীদের পাশের একটি মাঠে নিয়ে চাপাতি ও ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এই ঘটনায় ভিকটিম বাচ্চু মিয়ার ভাই কবির হোসেন ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি বাদী হয়ে কুমিল্লার লাকসাম থানায় খুনসহ ডাকাতির একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার ১১ বছর পর ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ, আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন লাকসাম শ্রীয়াং এলাকার সেলিম রেজার ছেলে নেওয়াজ শরীফ রাসেল, আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর রহমান, ইয়াকুব আলীর ছেলে শহীদুল্লাহ, আব্দুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন ও মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে স্বপন। দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান, শহীদুল্লাহ, ফারুক হোসেন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর আসামি স্বপন পলাতক রয়েছে।